মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

উখিয়া উপজেলায় শনিবার ১৬মে ৭জন করোনা রোগী সনাক্ত করা হয়েছে। তারমধ্যে একজন পুলিশ সদস্য রয়েছেন। তিনি কক্সবাজার শহরের বাহারছরার ১৬, এফপিবিএন-এর পুলিশ সদস্য। তার বয়স ২৩বছর। তিনি উখিয়ার ইনানাী লা-বেলা রিসোর্টে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারান্টাইন থেকে স্যাম্পল টেস্টে দিয়েছিলেন। একইদিন এনজিও সংস্থা ‘ইসফা’ এর আরো ২জন পুরুষ কর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের কক্সবাজার অফিস উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের থাইংখালীতে। তাদের একজনের বাড়ি চট্টগ্রাম ২নম্বর গেইটে। তার বয়স ২৩ বছর। অপরজনের বাড়ি ঢাকা শহরের হাজীরবাগে। তার বয়স ২৫বছর। গত ১৫মে ইসফা’র আরো একজন মহিলা কর্মী আক্রান্ত হয়। এনিয়ে এনজিও সংস্থা ‘ইসফা’ এর মোট ৩জন কর্মী করোনায় আক্রান্ত হলো।

এছাড়া জালিয়াপালং ইউনিয়নের সোনাইছড়ি গ্রামের মকবুল আহমদ পরিবারের একসাথে ৪জন সদস্য আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের ২জন পুরুষের মধ্যে একজনের বয়স ১৮ বছর ও অপরজনের বয়স ১৫ বছর। একই পরিবারের ২জন মহিলা সদস্যের মধ্যে একজনের বয়স ৫৫ বছর এবং অপরজনের বয়স ১৮ বছর। এ নিয়ে উখিয়া উপজেলায় মোট ২২জন করোনা রোগী সনাক্ত করা হলো।

শনিবার ১৬ মে করোনা সনাক্ত হওয়া রোহিঙ্গা শরনার্থী রোগী উখিয়া উপজেলার লম্বাশিয়া ১নম্বর রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্পের পশ্চিম পাশের এফ ব্লকের ৮ বছর বয়সী একটা শিশু। সে একজন রেজিস্ট্রাড রোহিঙ্গা (Forcibly displaced myanmar Nations-বলপূবর্ক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিক)। সে ক্যাম্পে কর্মরত আইএনজিও এমএসএফ ওসিএ-এর মাধ্যমে তার শরীরের স্যাম্পল টেস্ট করতে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে পাঠিয়েছিলো। তার ক্যাম্পের সর্দারের নাম মোঃ ছলিম মাঝি। শনিবার ১৬মে করোনা সনাক্ত হওয়া উক্ত রোহিঙ্গা শিশু শরনার্থীসহ ক্যাম্পে গত ৩দিনে মোট ৪জন করোনা ভাইরাস রোগী সনাক্ত করা হলো।